ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় বিচারের নামে এক পরিবারকে নির্যাতনের অভিযোগ

 

চকরিয়া অফিস:

চকরিয়ায় শালিশের নামে এক অসহায় পরিবারকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাদী আবদুস সালামের অভিযোগ জানা যায়, গত ১১ নভেম্বর উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের ৮নং পাহাড়িপাড়ার বাসিন্দা আবদুস সালাম সহ তার পরিবারের অন্য সদস্যদের মিথ্যা অভিযোগে পরিষদে ডাকেন দিদারুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর আলম। পরিষদে আসেন তারা। কিন্তু বিচারকরা কোন কিছু না যেনে আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। একপর্যায়ে সবাইকে একটি কক্ষে জিম্মী করে রাখে। সেখানে চকিদার দিয়ে অমানষিকভাবে নির্যাতন করে। এতে মারাত্মকভাবে আহত হন, আবদুস সালাম (৫০), তার স্ত্রী ছেনুয়ার বেগম মেয়ে রোমানা বেগম, ছেলে বেলাল মিয়া ও হেলাল মিয়া। পরে তাদেরকে উদ্ধার আহত অবস্থায় চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় গত ১৪ নভেম্বর আবদুস সালাম বাদী হয়ে দিদারুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর আলম সহ অজ্ঞাতনামা দেখিয়ে উপজেলা সিনিয়ল জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

…………………………………….

চকরিয়ায় বাড়ি ডেকে এক যুবককে হত্যা চেষ্ঠা

চকরিয়া অফিস:

চকরিয়ায় বাড়ি ডেকে সাইফুল ইসলাম (২৮) নামের এক যুবককে হত্যা চেষ্ঠা করেছে সন্ত্রাসীরা। ওই যুবককে দারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে মূমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল শনিবার ভোর ৬টায় উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের শাহওমরাবাদ ২নং ওয়ার্ড হাজিম্মাপাড়ায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। সাইফুল ইসলাম কাকারা ইউনিয়নের মাইজকাকারা এলাকার জামাল উদ্দিনের পুত্র।

আহত সাইফুল ইসলামের স্ত্রী আমেনা বেগম বলেন, ১৮ নভেম্বর ভোর ৬টায় ৪-৫জনের একদল অস্ত্রধারী তার স্বামী সাইফুলকে মোবাইল ফোনে ডেকে জিএনজি গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। শাহওমরাবাদ হাজিম্মাপাড়ায় রাস্তার পাশে দারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। তার দুটি পা ও দুটি হাতে মারাত্মক ভাবে আঘাত করে। এসময় চিৎকার দিলে এলাকাবাসি এগিয়ে আসেন। পরে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। তার অবস্থা এখনো আশঙ্কামুক্ত নয় বলে জানান চিকিৎসকরা।

তিনি আরও বলেন, কাকারা ইউনিয়নের আইত্যাঘোনায় তার স্বামী সাইফুল ইসলামের পৈত্রিক ভাবে পাওয়া ৪-৫ কানি ধানি জমি রয়েছে। সেখানে মাথাকিলা আরও কিছু জমিতে ধানি চাষ করতেন। সম্প্রতি কাকারা ইউনিয়নের শাওমরাবাদ এলাকার শওকত, জাফর, মামুন ও এরশাদের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী মাথা কিলা জমি দখল নেওয়ার চেষ্ঠা করে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার দখল করতে চাইলে বাধাও দেওয়া হয়েছে।

পাঠকের মতামত: